
নিজস্ব প্রতিবেদক: রিক্সা থাকা উচিত কি-না, বিশেষ করে ঢাকা শহরেÑ এই বিতর্ক দেড়-দু’ দশক ধরে চলছে। রিক্সা উচ্ছেদের চিন্তাও পুরোনো, তবে নগরে এর চলাচল কেবলই সীমিত করা হচ্ছে, দেয়া হচ্ছে নানা নিষেধাজ্ঞা, চলে রিক্সা বিরোধী অভিযান। তবে নেই কোন সুষ্ঠু পরিকল্পনা, যা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সাধারণত রিক্সা চালকরা, কম বয়সে কর্মক্ষমতা হারাতে থাকেন। জীবনের চল্লিশের দশকের পর রিক্সা চালানো কঠিন হয়ে পরে। এই সামর্থের সীমাবদ্ধতাকে জয় করতে সামপ্রতিক কালে অনেকে রিক্সায় যোগ করেছে বৈদ্যুতিক মটর। যার বৈধতা নেই। সারা দেশে কয়েক লাখ এমন ব্যটারি চালিত রিক্সায় দিনে অন্তত তিন লাখ ইউনিট বিদ্যুৎ টেনে নিচ্ছে।
জেলা শহরগুলোতে রিক্সার চলাচলে কোনো বিধিনিষেধ না থাকলেও রাজধানী ঢাকার প্রধান সড়কে এই বাহনের চলাচলে নিশেধাজ্ঞা রয়েছে। ঢাকায় সর্বশেষ ১৯৮৬ সালে ৮০ হাজার রিক্সার লাইসেন্স দেয়া হয়। ২০০৮ সালে চালকের লাইসেন্স দেয়া শুরুহলেও একই বছর রাজধানীতে রিক্সা চলাচল নিয়ন্ত্রনে রাখতে এ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। কিন্তু ঢাকার রাস্তায় রিক্সা বর্তমানে ১০ লাখ ছাড়িয়েছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
রিক্সাকে ঘিরে নানা নামে চলে চাঁদাবাজি। মালিকরাও ইচ্ছেমত ৫০/৬০ টাকার জমা ১’শ থেকে দেড়’শ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন। এ ছাড়া রাস্তায় যানবাহনের শৃঙ্খলা রক্ষায় যারা নিয়োজিত তারাও অবৈধ সুবিধা নিয়ে থাকেন রিক্সাচালকদের কাছ থেকে।
এর বাইওে রিক্সার ভাড়া নিয়ে বিতন্ডা চিরায়ত সমস্যা, অনেক সময় মারামারিতেও গড়ায়।
পরিবেশবান্ধব এই বাহনটির ব্যবস্থাপনায় নীতিমালা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে, রিক্সার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কিছু উদ্যোগ দেখাযায়। তবে, এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো ভাবনা নেই বলে জানালেন ঢাকা দক্ষিন সিটিকর্পোরেশনের এই কর্মকর্তা।
রিক্সা চালানো যেমন সংগ্রামের, এর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাও আরেক সংগ্রাম চালক ও মালিকদের জন্য।
পাঠকের মতামত